শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া কুশলী ইউনিয়নের রামচদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্চনা বাড়ৈ (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।জানা যায় যে, অর্চনা বাড়ৈ ২০১৬ সাল থেকে রামচদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত চাকরি করতেছেন।সাংবাদিক সরজমিনে রামচদ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গেলে তার কাছে অনিয়মের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ২০২২ সালে আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল- ২২৫। আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ প্ল্যান বই আকারে পাঠায় তারপর সরকার থেকে ৭০ হাজার টাকা পায়। এবং ২০২৩ সালে শিক্ষার্থী কমে ১৬৭ জন হয়। সেই কারণে আমাকে ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু অর্চনা বাড়ৈ (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অধিক শিক্ষার্থী দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা উঠানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জাকিয়া খানম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যে বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে তা আমি জানি তবে আমার মনে হয় তিনি এমন কাজ করে নাই। প্রধানশিক্ষক জাকিয়া খানম বলেন আমরা সরকারের কাছে যে স্লিপ প্ল্যান দেওয়া হয় তা অনিয়ম করার সুযোগ নাই। প্রধান শিক্ষক জাকিয়া খানম এর কাছে স্লিপ প্ল্যান লিস্ট দেখতে চাইলে তিনি বলেন আমি শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান এর সাথে কথা বলে জানাচ্ছি। তখন তিনি মাসুদুর রহমান শিক্ষা অফিসার কে মুঠোফোনে ফোন করিলে তিনি বলেন, তথ্য আইনে অভিযোগ করলে আমরা তথ্য দিতে পারবো তা না হলে আমরা কোন তথ্য দিতে পারবো না । দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় দুর্নীতি-অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার যেন ব্যাপকভাবে জেঁকে বসেছে।জানা যায় যে, তখন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এর দায়িত্ব ছিলেন বিদ্যা রতন বিশ্বাস তার সহযোগিতায় এমন কাজ করতেন এবং তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে বলে আমি এ সব কিছুই জানিনা আর এ বিষয়ে আমি শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান স্যারের সাথে কথা বলে আপনাদের সব বিস্তারিত জানাবো।
তাই উপর্যুক্ত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা।